কুষ্টিয়ার দৌলতপুর এক ভন্ড হুজুর অমানবিক কান্ড ঘটিয়েছে। তার রামদার কোপে গুরুতর জখম হয়েছে গ্রামের নিরীহ এক যুবক। পরে ওই ভন্ড হুজুরকে বিক্ষুব্ধ জনতা আটক করে গণধোলাই শেষে পুলিশে দিয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার ফিলিপনগর ইউনিয়নের কবিরাজপাড়া গ্রামে এমন ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয়রা জানায়, ফিলিপনগর কবিরাজপাড়া গ্রামের পিন্টুর মোড়ে হাফেজ আব্দুল্লাহ (৩৮) নামে এক ভন্ড হুজুর তার স্ত্রীকে ঘরে দরজা দিয়ে বেধড়ক মারপিট করতে থাকে। এসময় একই গ্রামের আনার আলী (২৫) নামে এক নিরীহ যুবক ওই বাড়ির পাশদিয়ে যাওয়ার সময় চিৎকার ও কান্নাকাটির শব্দ শুনে বাড়ির ভেতর প্রবেশ করে ঘরের দরজা নক করে। ভন্ড হুজুর ঘরের দরজা না খুললে চাতাল বেয়ে ঘরে প্রবেশ করলে ভন্ড হুজুর ক্ষুব্ধ হয়ে ঘরে থাকা ধারাল রামদা দিয়ে আনার আলীকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। পরে বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী ওই ঘরে প্রবেশ করে ভন্ড হুজুর আব্দুল্লাহ্কে আটক করে গণধোলাই দিয়ে গাছের সাথে বেঁধে রাখে এবং আহত আনার আলীকে উদ্ধার করে প্রথমে দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নেয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। খবর পেয়ে দৌলতপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ভন্ড হুজুরকে আটক করে থানায় নেয়। ভন্ড হুজুর হাফেজ আব্দুল্লাহ্র বাড়ি মিরপুর উপজেলার নয়নপুর গ্রামে এবং সে আব্দুল মজিদের ছেলে। সে দৌলতপুর উপজেলার ফিলিপনগর কবরস্থান পাড়া মাদ্রাসার শিক্ষক এবং একই এলাকার মামুন কবিরাজের বাড়িতে ভাড়ায় থাকতো। ভন্ড হুজুরের এমনকান্ডে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।