কুষ্টিয়া এন এস রোডে ফুটপাত দখল মুক্ত করার জন্য পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দের সহযোগে পাঁচ রাস্তা মোড় থেকে সিঙ্গার মোড় পর্যন্ত উচ্ছেদ অভিযান ও ভাঙচুর চালায় পৌরসভা কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ ।
২৬ সেপ্টেম্বর সোমবার সন্ধ্যা ৬ টা থেকে সাতটা পর্যন্ত কার্যক্রম চালায় পৌরসভার কর্মচারীরা ।দোকান মালিক সমিতির নেতা মকবুল হোসেন কে ধাক্কা দেওয়ায় এন এস রোডে- সড়ক অবরোধ করে ,বিক্ষোভ করেছেন ব্যবসায়ীরা। এতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পূজার কেনাকাটা করতে আসা মানুষ দুর্ভোগে পড়েন। সারা শহর জুড়ে উত্তেজনা ,হট্টগোল শুরু হয়।
সন্ধ্যা সাতটার দিকে ঘটনাস্থলে কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন গিয়ে দোকান মালিক সমিতির -সভাপতি আনোয়ার হোসেন ও সেক্রেটারি মকবুল হোসেনে্র সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন। এরপর যান চলাচল শুরু হয়। সভাপতি আনোয়ার হোসেন ওসি দেলোয়ার হোসেনকে জানান, সেক্রেটারিকে আঘাত করে, ধাক্কাধাক্কি করে, মালামাল নামিয়ে নিয়ে গেছে ।সেখানে প্যানেল মেয়র উপস্থিত ছিলেন।
পৌরসভা প্রতি সপ্তাহে মোবাইলকোর্ট করেছে। অন্ধকারে এগুলো করার কোন দরকার ছিল না । দোকানদার দের মালামাল ফেলে দিয়েছে । পুজোকে সামনে রেখে -দোকানদাররা মালামাল এনে সামনে রেখেছে। পৌরসভার -আগে থেকে কোন অ্যাক্টিভিটি নেই। মাইকিং বা তাদের কোন নোটিশে জানানো হয়নি তারা হঠাৎ করে তুলে নিয়ে গেছে নতুন মালামাল। দোকান মালিক সমিতির ৩৯ জন নির্বাচিত সদস্যর একই দাবি এর একটা বিহিত করতে হবে। পরবর্তীতে সভাপতি আনোয়ার হোসেন, কুষ্টিয়া পৌরসভার মেয়র আনোয়ার আলীকে ফোনে বিস্তারিত জানান। যদিও পুলিশ সুপার খাইরুল আলম বলেন, উচ্ছেদের বিষয়ে জানা নেই। পৌরসভা থেকে জানানো হয়নি।উচ্ছেদ অভিযানে থাকা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পৌর মেয়রের নির্দেশে শহরের প্রধান সড়ক এনএস রোডে ফুটপাত দখলমুক্ত করতে অভিযান চালান তাঁরা।
বিকেল ছয় থেকে রাত সাড়ে সাতটা পর্যন্ত এ অভিযান চলে এবং মালামালও জব্দ করা হয়। জেলা পরিষদ ভবনের সামনে সাঈদ ক্লথ স্টোরে গিয়ে দোকানের সামনের অংশ ভাঙা নিয়ে দোকানদারের সঙ্গে কর্মচারীদের বাগ্বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে সেখানে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে সেখানে এনএস রোড দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মকবুল হোসেনের সঙ্গে পৌরসভার কর্মচারীরা বাগ্বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন।একাধিক দোকানদার অভিযোগ করেন, পৌরসভার কর্মচারীরা দোকান মালিক সমিতির নেতা মকবুল হোসেনকে ধাক্কা দেন। এতে ব্যবসায়ীরা উত্তেজিত হয়ে পড়েন। সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা থেকে এনএস রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু হয়। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, পৌরসভা থেকেই ফুটপাত ঘেঁষে মার্কেট নির্মাণ করা হয়েছে। বাড়তি কোনো জায়গা ব্যবহার করা হয়নি। তারপরও তারা বিভিন্ন সময়ে এসে ভাঙচুর চালায়।
পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, উচ্ছেদ অভিযান যেকোনো সময় হতে পারে। ম্যাজিস্ট্রেট চেয়ে পাওয়া যায় না। তাই পৌরসভার কর্মকর্তারাই কাজ করেন। পরবর্তিতে ,দোকান মালিক সমিতির নির্দেশ মোতাবেক পুনরায় দোকানপাট আবার খুলে দেয়া হয় এবং অবরোধ সরিয়ে নেয়া হয়।