1. rashidarita21@gmail.com : bastobchitro :
ঈদের আগেই নাগালের বাইরে নিত্যপণ্যের দাম | Bastob Chitro24
শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:০৬ পূর্বাহ্ন

ঈদের আগেই নাগালের বাইরে নিত্যপণ্যের দাম

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ২ জুন, ২০২৩

দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির বাজারে সবজির দাম বেড়েছে ৫ থেকে ১০ টাকা। অন্যদিকে কোরবানির ঈদের আগেই নাগালের বাইরে গরম মসলার দাম। তবে বিভিন্ন প্রজাতির মুরগির মাংসের দাম কিছুটা কমেছে।‌ এদিকে চট্টগ্রামে এরমধ্যে নতুন করে আবারও ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে বেড়েছে ১০ টাকা। বাজারে নতুন করে চিনির দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হলেও থামছেই না পণ্যটির কারসাজি। পেঁয়াজের দাম ৩০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়।

শুক্রবার (২ জুন) রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে সবজির দামের এ চিত্র লক্ষ্য করা গেছে। এ ছাড়াও কমতে দেখা যায়নি অন্য কোনো পণ্যের দাম। এখনও তেল, চিনি, পেঁয়াজ, আদা ও ডিমসহ মাছ-মাংসের দাম অস্থিতিশীল। যে কারণে স্বল্প আয়ের মানুষের ওপর চাপ কেবল বাড়ছেই।

এদিকে, সদ্য প্রস্তাবিত বাজেটেও সাধারণ মানুষ নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে আসার সুখবরের অপেক্ষায় ছিলেন। তবে সেটা হয়নি। বরং বাজেটে নিত্যপণ্যের মধ্যে বাড়তি দামের তালিকায় যুক্ত হয়েছে অধিকাংশ পণ্য।

এদিন সকালে রাজধানীর বাজারগুলোতে অধিকাংশ সবজি ৬০ থেকে ৮০ টাকা বিক্রি হতে দেখা গেছে। এ তালিকায় রয়েছে পটল, ঢ্যাঁড়স, বেগুন, পেঁপে, ঝিঙে, চিচিঙ্গা। তবে করলা, বরবটি, কচুর লতি ও টমেটো। আর সজনে বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজি।

এদিকে ঈদের পর থেকে দফায় দফায় দাম বেড়ে আলু এখনও প্রতি কেজি ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। একই অবস্থা পেঁয়াজ ও আদার দামেও। প্রতিকেজি পেঁয়াজ বাজারভেদে ৭৫ থেকে ৮৫ টাকা আর আদার দাম বাড়তে বাড়তে ৩২০ থেকে ৪৫০ টাকা কেজি পর্যন্ত উঠেছে। এ দুই পণ্যের দাম রমজানের ঈদের পর থেকে দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে।

রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে তেল, চিনি, আটা-ময়দার দামও বেড়ে চড়ায় আটকে রয়েছে। পাশাপাশি আছে কিছু পণ্যের সরবরাহ সংকটও। যেমন- প্যাকেটজাত চিনি ও ময়দা অধিকাংশ দোকানে নেই। বোতলজাত সয়াবিন তেল পাওয়া গেলেও মুদি দোকানিরা বলছেন ঘাটতি আছে।

গত দুই সপ্তাহ ধরে অধিকাংশ তেল-চিনি পরিশোধনকারী কোম্পানি নতুন করে পণ্য সরবরাহ করেনি। দ্রুত সরবরাহ পরিস্থিতির উন্নতি না হলে এসব পণ্যের দাম আরও বাড়তে পারে বলে শঙ্কা খুচরা ব্যবসায়ীদের।

এ ছাড়াও, টানা কয়েক সপ্তাহ থেকে অস্থির ফার্মের ডিমের দাম। তবে ব্রয়লার মুরগির দাম একই রয়েছে। প্রতি কেজি ব্রয়লার এখন ২২০ থেকে ২৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। কোথাও কোথাও আরও কমেও বিক্রি হতে দেখা গেছে। অন্যদিকে প্রতি হালি ডিমের দাম এখনো ৫০ টাকা।

অন্যান্য নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতির উত্তাপ এখন ছড়িয়েছে মাছের বাজারেও। প্রকারভেদে সাধারণ চাষের মাছগুলোর দাম কেজিতে বেড়েছে প্রায় ৫০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত। অন্যদিকে ইলিশ-চিংড়ির পাশাপাশি দেশি পদের (উন্মুক্ত জলাশয়ের) মাছগুলোর দাম বেড়েছে ২০০-৫০০ টাকা পর্যন্ত।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, চাষের পাঙাশ-তেলাপিয়া থেকে শুরু করে দেশি প্রজাতির সব ধরনের মাছের দাম বেড়েছে। আগে বাজারে প্রতি কেজি পাঙাশ মাছ বিক্রি হতো ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা, যা এখন ২২০ থেকে ২৩০ টাকায় ঠেকেছে। অন্যদিকে তেলাপিয়া মাছের কেজি হয়েছে ২২০ থেকে ২৫০ টাকা। যা আগে কেনা যেত ১৮০-২০০ টাকায়।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
প্রযুক্তি সহায়তায়: রিহোস্ট বিডি